বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজার শহরের বাঁচা মিয়ার ঘোনায় সন্ত্রাসিদের অবৈধ কার্যকলাপে বাঁধা প্রদান করায় শাহ আলম (৪০) নামে এক ব্যবসায়িকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্ত আবছারের পিতা এজাহারভূক্ত আবদুর রশিদ ড্রাইভারকে আটক করেছে পুলিশ। আহত ব্যবসায়ি শাহ আলম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে দক্ষিণ পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

আহত শাহ আলমের ছোট ভাই আমিনুল হক জানান, বাঁচা মিয়ার ঘোনা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব করে আসছে আবছার বাহিনী প্রধান সন্ত্রাসি আবছার। এমনকি ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নানান সন্ত্রাসি কর্মকান্ডও চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার ব্যবসায়ি শাহ আলম কয়েকবার বাঁধা প্রদান করলে আবছার বাহিনী ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। এর আগেও কয়েকবার তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করায় বাক-বিতন্ডাও হয়। তিনি আরো জানান, রোববার ব্যবসায়ি শাহ আলম বাঁচা মিয়ার ঘোনাস্থ এলাকায় তার মালিকানাধীন বসতভিটায় গেলে সন্ত্রাসিরা একা পেয়ে দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা সহ আবছার বাহিনীর প্রধান আবছার ও তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে হামলা করে। সন্ত্রাসি আবছারের কিরিচের আঘাতে ব্যবসায়ি শাহ আলমের বাম হাতের কব্জি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং লাঠিসোটার আঘাতে ডান পায়ের হাঁটু ফুলে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে, সন্ত্রাসিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বাঁচা মিয়ার ঘোনাস্থ সন্ত্রাসিদের আস্তানায় হানা দেয়। জনগণের ধাওয়ায় সন্ত্রাসিরা পালিয়ে যায় এবং সন্ত্রাসি আবছারের পিতাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে সন্ত্রাসি আবছার তার বাহিনী নিয়ে কক্সবাজার পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদকে বেধড়ক মারধর করে এবং ঘর-বাড়ি ভেঙে দেয়। এর একদিন পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকাবাসি সন্ত্রাসিদের ধাওয়া করে। কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও, পবিত্র ঈদুল ফিতরে আবারও এলাকায় আসে সন্ত্রাসি কার্যক্রম শুরু করে আবছার। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।